ফেরেশতারাও কি ভুল করে ?

ফেরেশতারাও কি ভুল করে ?

সলাতের ফাযীলাত বর্ণনা করতে গিয়ে জনাব শায়খুল হাদীস সাহেব লিখেছেন- ‘‘হযরত উম্মু কুলছুমের স্বামী আবদুর রহমান অসুস্থ ছিলেন। একবার তিনি এমন অচেতন অবস্থায় পতিত হলেন যে, সকলেই তাঁহাকে মৃত বলে সাব্যস্ত করিল। উম্মু কুলসুম তাড়াতাড়ি নামাযে দাঁড়াইলেন। নামায শেষ করিবা মাত্র আবদুর রহমান জ্ঞান লাভ করলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, আমার অবস্থা কি মৃত্যুর অনুরূপ হইয়াছিল? লোকজন বলিল, জী হ্যাঁ। তখন তিনি বলিলেন, আমি দেখিলাম, দু’জন ফেরেশতা এসে বলিল, চল আল্লাহর দরবারে তোমার ফায়ছালা হবে। এই বলে তারা আমাকে নিয়া যাইতে উদ্যত হইল। ইত্যবসরে তৃতীয় এক ফেরেশতা আসিয়া তাহাদিগকে বাধা প্রদান করিয়া বলিল, তোমরা চলিয়া যাও ইনি এমন এক ব্যক্তি যিনি মাতৃগর্ভেই সৌভাগ্যবান বলিয়া সাব্যস্ত হইয়াছেন। তাঁর সন্তান-সন্ততিগণ আরও কিছুদিন তাঁর কাছ থেকে অনুগ্রহ লাভের সুযোগ পাইবে। তারপর তিনি আর একমাস জীবিত ছিলেন।’ (ফাজায়েলে নামায ৫৫ পৃঃ)

শাইখ সাহেব উক্ত ঘটনা উল্লেখ করার আগে বা পরে লিখেননি যে তিনি তা কোত্থেকে সংকলন করেছেন। হতে পারে উনার এলাকার কোন এক উম্মু কুলসুম এবং তার স্বামীর কাহিনী বর্ণনা করেছেন। আর এ রকম কারো কাহিনী লেখার জন্য যেমনিভাবে তার সনদ (রেফারেন্স) গ্রন্থের নাম উল্লেখ করা নিষ্প্রয়োজন, তেমনিভাবে তাদের নামের শেষে (রাযি.) কিংবা (রহ.) লেখার প্রয়োজনও মনে করা হয় না। রসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কন্যা ও তাঁর স্বামীই যদি হয়ে থাকেন উক্ত বর্ণনার দম্পতি, তাহলে তাদের নামের শেষে (রাযি.) লেখা প্রয়োজন ছিল। ভুলটা মূল লেখকের নাও হতে পারে, অনুবাদকের নতুবা মুদ্রণগত। যা হোক এসব ত্রুটির কথা উল্লেখ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য হলো কুরআন ও হাদীসের আলোকে যা ত্রুটিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা। মুহতারাম উক্ত ঘটনার মাধ্যমে বুঝাতে চেয়েছেন- শুধু মানুষই ভুল করে না বরং ফেরেশতা এবং স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলাও ভুলের ঊর্ধ্বে নন (নাউযুবিল্লাহ) নইলে শায়খের দ্বারা এমন বর্ণনা কিভাবে লিখা সম্ভব হল যে, দু’জন ফেরেশতা যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জান কবজ করার জন্য উদ্যত হলেন তখন অপর ফেরেশতা এসে বাধা প্রদান করে তাকে মৃত্যু থেকে একমাসের জন্য অব্যাহতি দিতে পারলেন। ঘটনা থেকে কি প্রমাণিত হয় না যে, প্রথম দু’জন ফেরেশতা ভুল করে এসেছিলেন। তাহলে ব্যাপারটি কি আল্লাহ তা‘আলার অগোচরেই ঘটেছিল? নাকি আল্লাহ তা‘আলা প্রথমে ভুল করে পাঠিয়ে অন্য ফেরেশতা দিয়ে পরে সংশোধন করলেন? আর মালাকুল মউত (‘আ.)-ই বা তখন ছিলেন কোথায়? শায়খ সাহেব জীবিত থাকলে এসব প্রশ্নের কি জবাব দিতেন তিনি? এ ধরনের ভুল-ত্রুটি কি তাবলীগী জামা‘আতের সাল (বছর) লাগানো আলিমদের নজরে পড়ে না? পড়ে থাকলে ওনারা সংশোধন করছেন না কেন? নাকি ওনারাও শাইখুল হাদীস সাহেবের সাথে একমত যে, ফেরেশতার এবং আল্লাহ তা‘আলাও ভুলের ঊর্ধ্বে নন (মায়াজ আল্লাহ, এটাতো শীয়া মাযহাবের ভ্রান্ত আক্বীদা) তাঁরাও ভুল-ত্রুটি করতে পারেন? আল্লাহ তা‘আলা আমাদের ক্ষমা করুন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা সকল ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে। এমনকি ফেরেশতারাও ভুল করতে পারে না। সত্যিকারের মুসলিমরা এ আক্বীদাই পোষণ করে।

ফেরেশতাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যে, তারা কখনো তাঁর নাফরমানী করেন না। নিজেদের খেয়াল-খুশি মত কোন কাজ করেন না। সেই শক্তি-সামর্থ্য তাদেরকে দেয়া হয়নি। তাদের মধ্যে যাদেরকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন জনম জনম ধরে তারা সেই কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ কাজে দক্ষ এবং বিশেষজ্ঞ। প্রতি কাজ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করার যোগ্যতা মহান আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে দিয়েছেন । সুতরাং তাদের কাজে ভুল বা দোষ-ত্রুটির সম্ভাবনা একেবারেই নেই। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে যে নির্দেশ দেন তারা শুধু তা-ই পালন করেন। এই সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

{لاَ يَعْصُونَ اللهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ}

‘‘আল্লাহ তাদেরকে (ফেরেশতাদেরকে) যে আদেশ করেন, তারা কখনও তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করেন না, বরং তাদেরকে যে নির্দেশ দেয়া হয় তারা শুধু তা-ই পালন করেন।’’ (সূরা তাহরীম ৬)

কেউ হয়ত ভাবতে পারেন যে, স্ত্রীর (উম্মু কুলসুমের) সলাতের ফাযীলাতে আল্লাহ তা‘আলা তার স্বামীর হায়াত এক মাস বাড়িয়ে দিয়েছেন। যদি কেউ এ ধরনের অবান্তর বিশ্বাস পোষণ করেন, তাহলে তা হবে আক্বীদাগত চরম ভুল এবং অবধারিতভাবে কুফর। কারো ‘ইবাদাত ও দু‘আর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা কারো বিপদাপদ দূর করে দেন বটে, কিন্তু হায়াত বৃদ্ধি করে দেন না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পূর্ব নির্ধারণকৃত সময়সীমার মধ্যেই সকল প্রাণীর মৃত্যু ঘটান। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

{وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ فَإِذَا جَاء أَجَلُهُمْ لاَ يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً وَلاَ يَسْتَقْدِمُونَ}

‘‘সকল জাতির জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট জীবনকাল। যখন তাদের সে নির্ধারিত সময় উপস্থিত হবে, তখন তারা সে সময়কে এক মুহূর্তের জন্যও আগে পিছে করতে পারবে না।’’ (সূরা আল-আ‘রাফ-৩৪)

মহান আল্লাহ আরো বলেন :

{وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَنْ تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللهِ كِتَاباً مُؤَجَّلاً}

‘‘আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কারও মৃত্যু হতে পারে না, যেহেতু তার মেয়াদ অবধারিত।’’ (সূরা আল-ইমরান ১৪৫)

এবার সম্মানিত পাঠকবৃন্দ বলুন, কুরআনের এসব আয়াতের সাথে তাবলীগে নিসাব গ্রন্থকার সাহেবের বক্তব্য সাংঘর্ষিত কি না? সলাতে ফাযীলাত বর্ণনা করার জন্য কি কুরআন ও সহীহ হাদীসের বক্তব্যের অভাব রয়েছে যে, তাঁর জন্য মিথ্যা বানোয়াট আজগুবি কিস্সা কাহিনীর আশ্রয় নিতে হবে?

ফেরেশতাগণের প্রতি অজ্ঞতার অপবাদ

শায়খ সাহেব সেই একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলেন। তিনি যিক্রে খফীর বয়ান করতে গিয়ে লিখেছেন :

‘‘আম্মাজান আয়েশা হুজুরে পাক (ছঃ) এর এরশাদ বর্ণনা করিয়েছেন যে, জিকরে খফি যাহা ফেরেশতারাও শুনিতে পায় না, তাহা সত্তর গুণ বর্দ্ধিত হইয়া যায়। কেয়ামতের দিবস সমস্ত হিসাব নিকাশ যখন শেষ হইয়া যাইবে তখন আল্লাহ পাক বলিবেন, অমুক বান্দার কোন আমল বাকী রহিয়াছে কি? তখন কেরামুন-কাতেবীন বলিলেন, আমাদের লিখিত সমস্ত আমলই আমার পেশ করিয়াছি। তখন আল্লাহ তায়ালা বলিবেন, আমার নিকট তাহার এমন আমল রহিয়াছে যাহা তোমাদের জানা নাই। উহা হইল ‘‘জেকেরে খফী’’ অন্য রেওয়ায়েতে আছে, যেই জিকির ফেরেশতাগণ শুনিতে পায় উহা জিকরে জলীর উপর সত্তর গুণ বেশী ফজীলত রাখে। কবি বলিলেন :

ميان عاشق ومشوق رمزاست + كراما كاتبين راهم خبر نيست

অর্থাৎ ‘‘প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে এমন সব রহস্য রহিয়াছে যাহা ফেরেশতাগণও জানিতে পারে না।’’ (তাবলীগী নিসাব, ফাজায়েলে জিকির ৩০৫ পৃঃ)

লক্ষ্য করুন, কবিতায় যে প্রেমিক-প্রেমিকার কথা বলা হয়েছে, তা আল্লাহর শানে ব্যবহৃত হতে পারে না, কারণ আল্লাহ পুরুষ নন এবং স্ত্রীও নন। তিনি প্রেমিক-প্রেমিকা হবেন কিভাবে? আল্লাহর শানে স্ত্রী বা পুংলিঙ্গসূচক শব্দ ব্যবহার কি অজ্ঞতা ও বাতিল আক্বীদার বহিঃপ্রকাশ নয়? আল্লাহর সঙ্গে বান্দার মুহাববাত হতে পরে কিন্তু ইশ্ক হতে পারে না। কারণ ইশ্কের মধ্যে পাগলামী আছে যা সৃষ্টি বা মাখলুকের সঙ্গে চলে। খালিক অর্থাৎ স্রষ্টার সাথে ইশ্ক চলে না। তারপর আল্লাহ তা‘আলা কিরামান কাতিবীন (সম্মানিত লেখকদ্বয়) সম্পর্কে কুরআন কারীমে ইরশাদ করেন :

{وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ، كِرَاماً كَاتِبِينَ، يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ}

‘‘আর অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত রয়েছে। তারা এমন ‘আমাল লেখক, যারা তোমাদের প্রত্যেকটি কাজ সম্পর্কে জানেন যা তোমরা কর।’’ (সূরা ইনফিতার ১০-১২)

অন্যত্র আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন :

{وَوُضِعَ الْكِتَابُ فَتَرَى الْمُجْرِمِينَ مُشْفِقِينَ مِمَّا فِيهِ وَيَقُولُونَ يَا وَيْلَتَنَا مَالِ هَذَا الْكِتَابِ لاَ يُغَادِرُ صَغِيرَةً وَلاَ كَبِيرَةً إِلاَّ أَحْصَاهَا وَوَجَدُوا مَا عَمِلُوا حَاضِرًا وَلاَ يَظْلِمُ رَبُّكَ أَحَدًا}

‘‘আর তারা বলবে, আফসোস (আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য) এটা কেমন ‘আমালনামা এতে ছোট (খফী) বড় কোন গুনাহ্ই লিপিবদ্ধ করা ব্যতীত ছেড়ে দেয়া হয়নি? যা কিছু তারা করেছে, তার সব কিছুই তারা লিখিত আকারে উপস্থিত পাবে। আপনার রব, কারো উপর যুলুম করেন না।’’ (সূরা কাহাফ ৪৯)

উপরের আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন যে, বান্দা যে সব ‘আমাল করে কিরামান কাতিবীন ফেরেশতাদ্বয় তা সবই জানেন। আর শায়খ সাহেব সনদবিহীন হাদীস আর ফারসী কবিতা বর্ণনার ভিত্তিতে বলেছেন, ‘যিক্রে খফী’ নাকি ফেরেশতারা জানে না। পরবর্তী আয়াতেও বান্দাগণ স্বীকার করবে যে, তাদের ‘আমালনামা ছোট-বড় কিছুই বাদ পড়েনি, সবই তাতে আছে। এখন সম্মানিত পাঠকবর্গই বলুন, আমরা প্রমাণবিহীন শাইখুল হাদীসের কথা বিশ্বাস করব, নাকি আল্লাহর বাণী কুরআনের কথা বিশ্বাস করব?

শাইখ সাহেব কি আল্লাহ তা‘আলাকে এমন ঘুষখোর মানুষের মত মনে করেছেন, যিনি ঘুষ খেয়ে অন্য অযোগ্য লোককে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দান করেন? যে তার কাজ সম্পর্কে পূর্ণরূপে ওয়াকিফহাল নয়। আর এমন অযোগ্য ও কর্ম জ্ঞানসম্পন্ন ফেরেশতা নিয়োগের কারণে নিয়োগকর্তা স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলার অযোগ্যতা ও দুর্বলতা কি প্রমান করে না? যা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। এসব কথা লেখার আগে উল্লিখিত আয়াতগুলোর কথা কি শায়খ সাহেবের একবারও মনে পড়েনি? কিতাবখানি প্রকাশের পর তাবলীগী জামা‘আতের কোন আমীরের নযরে কি তা পড়েনি? তাহলে একমাত্র এ কিতাব তাঁরা কেমন পড়া পড়েন? নাকি গোড়ামীর কারণে তা সংশোধন করতে পারেনি। তা আল্লাহ তা‘আলা ভাল জানেন।

শাইখুল হাদীসের মতে শুধু যিক্রে খফীই ‘আমালনামা থেকে বাদ পড়ে না বরং আরো বড় নেকীও বাদ পড়ে যায়। ফাজায়েলে দরূদ অধ্যায়ের নিম্নলিখিত কাহিনীটি তার জ্বলন্ত প্রমাণ । তিনি জাদুর সায়ীদ গ্রন্থের বরাত দিয়ে লিখেছেন- ‘‘কেয়ামতের দিবস কোন মোমেন বান্দার নেকী যখন কম হইয়া যাইবে তখন হুজুরে পাক (সাঃ) আঙ্গুলের মাথা বরাবর একটা কাগজের মুকরা মীজানের পাল্লায় রাখিয়া দিবেন যার দরুণ তাহার নেকীর পাল্লা ভারী হইয়া যাইবে। সেই মোমেন বান্দা বলিয়া উঠিবে আপনি কে? আপনার ছুরত কতই না সুন্দর। তিনি বলিবেন আমি হইলাম তোমার নবী এবং ইহা হইল আমার উপর পড়া তোমার দরূদ শরীফ। তোমার প্রয়োজনের সময় আমি উহা আদায় করিয়া দিলাম।’’ (তাবলীগী নিসাব- ফাজায়েলে দরূদ ৩৪)

প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল আল্লাহর সাথে, আর এ ঘটনা ঘটেছে রসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে। তাহলে রসূল (সাঃ) বলেন, আমি হলাম তোমার নাবী, আর এটা (কাগজের টুকরা দেখিয়ে) হলো তোমার পঠিত দরূদ। তোমার প্রয়োজনের সময় সেটা প্রদান করলাম।

আমরাতো জানি দরূদ সহ সকল ‘ইবাদতের সওয়াব ‘আমালনামায় (একটি কিতাবে) সংরক্ষিত থাকে (এবং গ্রীবালগ্ন হয়ে ‘আমালকারীর সঙ্গে থাকে) কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পঠিত দরূদ ‘আমালনামায় পাওয়া গেল না তা পাওয়া গেল রসূল (সাঃ)-এর হাতে। এটা রসূল (সাঃ) হাতে পৌঁছাল কি করে? ‘আমালনামা তো ফেরেশতা সংরক্ষণ করেন, নাবীরা নয়। শায়খ সাহেব কি বলবেন? এটাও যিক্রে খফী যা ফেরেশতাদের কিতাব থেকে লিপিবদ্ধ হওয়া থেকে বাদ পড়ে গেল? আরও বিস্ময়কর কথা হল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি একজন মু’মিন হওয়ার পরও সে নাবীকে চিনতে পারেনি। অথচ হাদীস থেকে জানা যায় মু’মিনরা ক্ববরেই সওয়াল-জওয়াবের সময় নাবীকে চিনে ফেলবেন। অতএব জনাবের এ সকল বর্ণনাই প্রমাণ করে যে, ফেরেশতাদের প্রতি তার ঈমান ভেজালমুক্ত নয়।

, সহীহ আকিদার মানদন্ডে তাবলীগ নিসাব
লেখক: মুরাদ বিন আমজাদ

→→ইনশাআল্লাহ চলবে

‘আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক’
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। “কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা” [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

Leave a comment