কতিপয় হুকুম এবং আমাদের অবহেলাঃ

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

কতিপয় হুকুম এবং আমাদের অবহেলাঃ

ইসলাম একটি পরিপূর্ন জীবন ব্যবস্থা। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এমন কোন শাখা নেই যেখানে ইসলামের বিধান নেই। আর এই বিধান পরিপূর্ন ভাবে পালন করার নামই হচ্ছে ইসলাম। আর এটাই আল্লাহর হুকুম। এ প্রসংগে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআন শরীফে বলেন,

“ হে মুমিনগন, তোমরা পূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না, নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু”। [সূরা আল বাকারাঃ ২০৮]

এ আয়াত দ্বারাই স্পষ্ট হয় যে আমাদেরকে পরিপূর্নভাবে ইসলামে প্রবেশ করতে হবে। এ ব্যাপারে কোন অবহেলার অবকাশ নেই। আর এই হুকুমের যে বিরোধীতা করবে সে পথভ্রষ্ট, যালেম।

আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআন শরীফে আরও বলেন,

আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রসূলের, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা হয়। [সূরা আল ইমরানঃ ১৩২]

আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়। [সূরা আল আহজাবঃ ৩৬]

পুরুষের টাকনুর নিচে পোশাক পরিধান করা যাবে না। আজকাল অধিকাংশ পুরুষকে দেখা যায় তারা তাদের প্যান্ট পায়ের পাতা পর্যন্ত ঝুল দেয়। এর মধ্যে যারা নামাজি তারা নামাজের সময় তাদের প্যান্ট টাকনু পর্যন্ত গুছিয়ে নেয়। আসলে টাকনুর উপর পর্যন্ত কাপড় পরা পুরুষদের সব সময়ের জন্য আবশ্যক, শুধু নামাজের সময় নয়।

আদাম (র)……আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম) বলেছেনঃ ইযারের যে পরিমান টাকনুর নীচে যাবে, সে পরিমান জাহান্নামে যাবে। (বুখারী শরীফ, পোশাক অধ্যায়, হাদিস নং- ৫৩৭১)

আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে একদা নবী (সাঃ) বললেন, তিন প্রকার মানুষ আছে, যাদের সঙ্গে আল্লাহ তা’আলা ক্বিয়ামতের দিন কোন কথা বলবেন না, তাদের প্রতি রহ্‌মতের দৃষ্টিপাত করবেন না এবং তাদেরকে পাক-সাফ করবেন না । আর তাদের জন্য ভীষণ কষ্টদায়ক আযাব নির্ধারিত রয়েছে । আবু যার (রাযিঃ) এ কথা শুনার সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন, তাদের জন্য তো অধঃপতন ও ধ্বংস- হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ)! তারা কারা? রাসুল (সাঃ) বললেন- ১) যে ব্যক্তি পরিধেয় বস্ত্র পায়ের গিঁটের নীচে পৌঁছায়, ২) যে ব্যক্তি উপকারের খোঁটা দেয়, ৩) আর যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম দ্বারা নিজের মাল চালু করার চেষ্টা করে (মুসলিম, মেশকাত হাঃ ২৬৭৩)

নবী (সাঃ) বলেন একজন ঈমানদার ব্যক্তির পরনের কাপড় তার হাঁটু ও পায়ের মাঝ বরাবর থাকবে । ঐ নলার মাঝ খান থেকে পায়ের গিরা পর্যন্ত নামলে আপত্তি নেই । কিন্তু গিরা বা গিটের নীচে নামলে তা জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে । এ কথা তিনি (সাঃ) তিনবার বলেন । অতঃপর তিনি বলেন যে ব্যক্তি গর্ব ভরে তার পরনের কাপড় গিরার নিচে ঝুলিয়ে দেয়, মহান আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন তার দিকে রাহমাতের নযরে তাকাবেন না (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মেশকাত ৩৭৪ পৃঃ)

সমাজের মানুষ কে কি বলল এই ভয় না করে আসুন সুন্নাহ মেনে চলি। আপনি সমাজের মানুষের কথার ভয়ে টাকনুর নিচে প্যান্ট পড়লে এই সমাজের মানুষগুলো কি কিয়ামতের দিন আপনাকে জাহান্নমের আগুন থেকে বাঁচাতে পারবে? অবশ্যই না।

আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে কুরআন ও সুন্নাহ মেনে জীবন চলার তৌফিক দেন। আমীন।

☛ ইসলামের শাশ্বত বাণী সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া সকল মুসলিমের দায়িত্ব। সুতরাং শেয়ার ও ট্যাগ করতে ভুলবেন না।

 “ইসলামকে জানুন” নিজে জানুন, আমল করুন এবং অন্যকে পৌঁছে দিন।

Leave a comment